বিষয়বস্তুতে চলুন

হাদীসে বেলায়াত

wikishia থেকে

হাদীসে বেলায়াত (আরবি: حَدیث الوِلایَة); মহানবি (স.) থেকে বর্ণিত একটি হাদীস এবং আলী ইবনে আবি তালিব (আ.)-এর ইমামত প্রমাণে শিয়াদের অন্যতম দলীল। হাদীসটি বর্ণনা ভিন্নতায় শিয়াসুন্নি বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে; তবে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ বর্ণনাটি হল (هُوَ وَلِیُّ کُلِّ مُؤْمِنٍ بَعْدی)-আমার পরে সে (আলী) প্রত্যেক মু’মিনের ওয়ালি।

হাদীসে উল্লেখিত ‘ওয়ালি’ শব্দটিকে শিয়ারা ইমাম ও অভিভাবক অর্থে গ্রহণ করে এবং এর মাধ্যমে ইমাম আলী (আ.)-এর বেলায়াতকে প্রমাণ করে। তাদের বিশ্বাস আভিধানিক দৃষ্টকোণ থেকে ‘ওয়ালি’ এই অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে শাইখাইন, সাহাবা, তাবেঈন এমনকি আহলে সুন্নতের অনেক আলেমও শব্দটিকে এ অর্থেই ব্যবহার করেছেন; এতদসত্বেও আহলে সুন্নতের দাবী শব্দটি ‘বন্ধু’ ও ‘অভিভাবক’ অর্থে এসেছে এবং হযরত আলীর (আ.) ইমামত ও বেলায়েতের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।

মূল হাদীস

ইমরান ইবনে হুছাইন থেকে জাফর ইবনে সুলাইমান বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহর রাসূল (স.) একটি দলকে এক যুদ্ধে প্রেরণ করলেন এবং তাদের নেতৃত্বের ভার দিলেন হযরত আলী ইবনে আবি তালিবকে। তারা ঐ যুদ্ধে বেশ কিছু গণিমত লাভ করে। হযরত আলীর (আ.) গনিমত বন্টনের পদ্ধতি তাদের মনপূত না হওয়ায় তাদের ৪ জন সিদ্ধান্ত নিল যে তারা মহানবি (স.)-এর সাথে সাক্ষাতে হযরত আলীর (আ.) এ আচরণ সম্পর্কে অভিযোগ করবে। তারা একে একে মহানবি (স.)-এর কাছে অভিযোগ করে বললো: হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি জানেন আলী (আ.) এমন আচরণ করেছে?

আল্লাহর রাসূল (স.)-এর চেহারা মোবারকে রাগের চিহ্ন স্পষ্ট হল, তিনি বললেন: আলীর (আ.) কাছ থেকে তোমরা কি চাও? আলীর (আ.) কাছ থেকে তোমরা কি চাও? ‘আমি আলী থেকে, আর আলী আমার থেকে এবং আমার পর আলী হল প্রত্যেক মু’মিনের ওয়ালি’।[]

বর্ণনার শব্দে ভিন্নতা

হাদীসে বেলায়াত শব্দ ভিন্নতায় শিয়া ও সুন্নি সূত্রসমূহে বর্ণিত হয়েছে; যেমন:

  • علی ولیّ کل مؤمن بعدی[]
  • هو ولی کل مؤمن بعدی[]
  • انت ولی کل مؤمن بعدی[]
  • أنت ولی کل مؤمن بعدی و مؤمنه[]
  • انت ولیی فی کل مؤمن بعدی[]
  • فانه ولیکم بعدی[]
  • ان علیا ولیکم بعدی[]
  • هذا ولیکم بعدی[]
  • انک ولی المؤمنین من بعدی[১০]
  • انت ولیی فی کل مؤمن بعدی[১১]
  • و انت خلیفتی فی کل مؤمن من بعدی[১২]
  • و فهو اولی الناس بکم بعدی[১৩] ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

বিষয়বস্তু

শিয়া আকিদার ভিত্তিতে হাদীসে বেলায়েতের বিষয়বস্তু হল হযরত আলী (আ.)-এর ইমামত ও বেলায়াত।[১৪] তাদের মতে ‘ওয়ালি’ শব্দের অর্থ হল অভিভাবক, ইমাম, নেতা ও খলিফা[১৫] কিন্তু আহলে সুন্নত মনে করে হাদীসটি হযরত আলী ইবনে আবি তালিবের স্থলাভিষিক্ততার বিষয়ে নির্দেশক নয়, কেননা তাদের দাবী ‘ওয়ালি’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হল বন্ধুত্ব ও সাহায্য করা।[১৬] নিজেদের বিশ্বাস প্রমাণে শিয়ার বলে: ‘ওয়ালি’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হল অভিভাবক, নেতা, খলিফা, এখতিয়ারের অধিকারী এবং ইমাম; এছাড়া ইসলামের প্রাথমিক যুগে এবং পরবর্তী সময়েও শব্দটি খলিফা ও অভিভাবক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। প্রথম খলিফা[[১৭] দ্বিতীয় খলিফা[১৮], সাহাবা[১৯], তাবেঈন[২০] এবং আহলে সুন্নতের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আলেম[২১] শব্দটি খলিফা ও অভিভাবক অর্থে ব্যবহার করেছেন, যুক্তি হিসেবে তারা এ বিষয়টিকে উপস্থাপন করে থাকে।[নোট ০১]

সনদ

আব্দুল কাদের বাগদাদী ও ইবনে হাজার আসকালানী বলেছেন, হাদীসটি তিরমিযী নির্ভরযোগ্য ও শক্তিশালী সনদে ইমরান ইবনে হুছাইন থেকে বর্ণনা করেছেন।[২২] মুত্তাকী হিন্দীও হাদীসটি সহীহ আখ্যায়িত করেছেন।[২৩] হাকিম নিশাবুরির মতে হাদীসের সনদ সহীহ, অবশ্য মুসলিম ও বুখারি তাদের সাহীহাইনে হাদীসটি আনেন নি।[২৪] একইভাবে শামসুদ্দীন যাহাবী ও নাসিরুদ্দীন আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।[২৫]

যে সকল গ্রন্থে হাদীসটি উল্লেখিত হয়েছে

হাদীসে বেলায়াত সহিহ তিরমিযী, মুসনাদে আহমাদ ইবনে হাম্বাল,[২৬] সুয়ূতী প্রণীত জামেউল আহাদীস,[২৭] কানযুল উম্মাল,[২৮] মুসনাদে আবি দাউদ,[২৯] ফাদ্বায়েলুস সাহাবা, [৩০] আল-আহাদ ওয়াল মাসানি, [৩১] সুনানে নাসাঈ,[৩২] মুসনাদে আবু ইয়া’লা, [৩৩] সাহীহ ইবনে হাব্বান, [৩৪] তাবরানী প্রণীত আল-মুজামুল কাবির,[৩৫] তারিখু মাদিনাতি দিমাশক,[৩৬] আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ,[৩৭] আল-ইসাবাহ,[৩৮] আল-জাওহারাহ ফি নাসাবিল ইমাম আলী ও আলিহি,[৩৯] খাযানাতুল আদাব ওয়া লুব্বু লুবাবি লিসানিল আরাব,[৪০] আল-গাদীর,[৪১] আল-ইস্তিআব[৪২]কাশফুল গুম্মাহতে[৪৩] বর্ণিত হয়েছে।

সনদের বিশ্লেষণ

মুবারাকফুরি দাবী করেছেন যে, (بعدی) শব্দটি হাদীসে বেলায়েতের কিছু কিছু বর্ণনায় উল্লেখ না হলেও শিয়া রাভিরা শব্দটিকে সংযুক্ত করেছেন। তিনি নিজের দাবী সত্য প্রমাণে মুসনাদে আহমাদ ইবনে হাম্বালের উদ্ধৃতি দিয়েছেন যে, মুসনাদে হাদীসটি বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে, তার দাবী ‘কোন এক বর্ণনাতেও (بعدی) শব্দটি নেই’।[৪৪] অবশ্য আহমাদ ইবনে হাম্বাল হাদীসটি তার মুসনাদ [৪৫]ফাদ্বায়েলুস সাহাবা গ্রন্থে (بعدی) শব্দসহ উল্লেখ করেছেন।[৪৬]

একইভাবে মোবারকফুরির (আবুল আলা মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহমান ১২৮৩-১৩৫৩ হি.) দাবী হাদীসটি শুধুমাত্র জাফর বিন সুলাইমানইবনে আজলাহ কেন্দি বর্ণনা করেছেন। আর তারা উভয়েই শিয়া হওয়ার কারণে তাদের হাদীস গ্রহণযোগ্য নয়। মোবারকফুরির দৃষ্টিতে শিয়ারা আহলে বিদআত, আর কোন বিদআতি যদি এমন কোন রেওয়ায়েত বর্ণনা করে যা তার মাযহাব শক্তিশালী হওয়ার কারণ হয় তবে তা অগ্রহণযোগ্য।[৪৭] অথচ আলবানী’র ভাষ্যানুযায়ী কারো নিকট থেকে হাদীস গ্রহণের ক্ষেত্রে আহলে সুন্নতের মানদণ্ড হল সত্যবাদিতা ও হাদীস বর্ণনায় অধিক যত্নবান হওয়া এবং হাদীস গ্রহণ ও বর্জনের ক্ষেত্রে রাভি’র মাযহাব কোন ভূমিকা রাখে না। এ কারণেই বুখারিমুসলিম সাহীহাইনে এমন কিছু হাদীস বর্ণনা করেছেন যেগুলোর রাভি আহলে সুন্নতের মাযহাব বিরোধী যেমন খাওয়ারেজ ও শিয়া।[[৪৮] আলবানী (মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন ১৯১৪ থেকে ১৯৯৯ ইং) বলেন, হাদীসটি আহলে সুন্নতের বিভিন্ন সূত্র ও বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে যেগুলোর (কোন কোনটির) সনদে কোন শিয়া রাভি’র উপস্থিতি নেই।[৪৯] সাইয়্যেদ আলী মিলানি বলেছেন যে, হাদীসটি ইমাম আলী (আ.), ইমাম হাসান (আ.), আবুযার, আবু সাঈদ খুদরিবাররা বিন আযেব[৫০]সহ হাদীসটি মোট ১২ জন সাহাবী[৫১] থেকে বর্ণিত হয়েছে। যেগুলোর বেশীরভাগই ইমরান ইবনে হুছাইন, ইবনে আব্বাস ও বুরাইদা ইবনে হাছীবে গিয়ে শেষ হয়েছে।[৫২]

একইভাবে জাফার ইবনে সুলাইমান হলেন সহীহ মুসলিমের রাভিদের[৫৩] একজন। যাহাবি তাকে ইমাম বলে সম্বোধন করেছেন[৫৪] এবং ইয়াহিয়া ইবনে মুঈন থেকে বর্ণনা করেছেন যে তাকে ‘সিকাহ’ (নির্ভরযোগ্য) বলে মনে করতেন।[৫৫] আলবানী জাফার সম্পর্কে বলেছেন: তিনি নির্ভরযোগ্য রাভি এবং মুতকান (সুদৃঢ়) ও শক্তিশালী রেওয়ায়েতের অধিকারী। তিনি আহলে বাইতের একজন অনুরাগী ছিলেন, তবে কাউকে নিজের মাযহাবের প্রতি আহবান জানাতেন না। তিনি বলেছেন, আমাদের ধর্মগুরুদের মাঝে এ বিষয়ে মত ভিন্নতা নেই যে, যদি সত্যবাদী কোন ব্যক্তি আহলে বিদআত হয়ে থাকে এবং নিজের মাযহাবের প্রতি অপরকে আমন্ত্রণ না জানায়, তার থেকে হাদীস গ্রহণ করা সঠিক।[৫৬] কোন কোন সুন্নি আলেম ইবনে আজলাহ’কে সিকাহ বলেছেন এবং তার থেকে বর্ণিত হাদীসকে হাসান বলে আখ্যায়িত করেছেন।[৫৭]আলবানী আজলাহ’র হাদীসটিকে জাফর বিন সুলাইমানের হাদীসের সঠিকতার প্রমাণ বলে মনে করেন।[৫৮] মুবারাকফুরি বলেছেন যে, ইবনে তাইমিয়্যা’র দাবী ছিল, আল্লাহর রাসূলের (সা.) সাথে সম্পৃক্ত করা এ হাদীসটি মিথ্যা[৫৯], অথচ সুন্নি স্কলার আলবানী ইবনে তাইমিয়্যা কর্তৃক হাদীসটি অস্বীকারের ঘটনায় অবাক হয়েছেন।[৬০]

স্বতন্ত্র গ্রন্থাবলী

  • হাদীসে বেলায়াত ওয়া মান রাওয়া গাদীরা খুম মিনাস সাহাবাহ, ইবনে উকদাহ কুফী, প্রকাশক দালীলে মা, প্রকাশকাল ১৪২৭ হিজরী, কোম, ইরান।
  • হাদীসুল বেলায়াহ; সাইয়্যেদ আলী হুসাইনী মিলানী, মারকাযু হাকায়েকিল ইসলামিয়্যাহ, ১৪২১ হিজরী।

তথ্যসূত্র

  1. ইবনে শাইবাহ, আল-মুসান্নাফ, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ৫০৪, হা.৫৮; তায়ালিসি, মুসনাদে আবু দাউদ, দারুল মা’রিফাহ, পৃ. ১১১।
  2. ইবনে শাইবাহ, আল-মুসান্নাফ, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ৫০৪, হা.৫৮; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা, ১৪১১ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১৩২; হিন্দি, কানযুল উম্মাল, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১১, পৃ. ১৪২।
  3. তায়ালিসি, মুসনাদে আবি দাউদ, দারুল মা’রিফাহ, পৃ. ১১১; ইবনে হাম্বাল, মুসনাদ, মুআসিসাতু কার্তাবা, খণ্ড ৪, পৃ. ৪৩৭; আবু ইয়া’লা মাওসিলি, মুসনাদে আবি ইয়া’লা, ১৪০৪ হি., পৃ. ২৯৩।
  4. তায়ালিসি, মুসনাদে আবি দাউদ, দারুল মা’রিফাহ, পৃ. ৩৬০; নাসাঈ, খাসায়েসু আমিরুল মু’মিনীন (আ.), ১৩৮৩ ফার্সি সন, পৃ. ৯৮।
  5. ইবনে হাম্বাল, ফাদ্বায়েলুস সাহাবা, ১৪০৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৮৪, হা.১১৮৮; হাকিম নিশাপুরি, আল-মুস্তাদরাক, খণ্ড ৩, পৃ. ১৩৪; আমিনী, আল-গাদীর, ১৩৯৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫১; ইরবিলি, কাশফুল গুম্মাহ, ১৪০৫ হি., পৃ. ১৭৭।
  6. ইবনে হাম্বাল, মুসনাদ, মুআসসিসাতুল কার্তাবা, খণ্ড ১, পৃ. ৩৩০।
  7. ইবনে হাজার, আল-ইসাবাহ, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ৪৮৮।
  8. ইবনে কাসির, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৩৪৫; হিন্দি, কানযুল উম্মাল, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১১, পৃ. ৬১২, হা.৩২৯৬৩; ইবনে আসাকির, তারিখু মাদিনাতি দিমাশক, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৪২, পৃ. ১৯১।
  9. নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা, ১৪১১ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১৯১।
  10. খাতিব বাগদাদি, তারিখে বাগদাদ, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, খণ্ড ৪, পৃ. ৩৩৮।
  11. ইবনে হাম্বাল, মুসনাদ, মুআসসিসাতুল কার্তাবা, খণ্ড ১, পৃ. ৩৩০।
  12. ইবনে আবি আছিম, আস সুন্নাহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৫৫০; তাবরানি, আল-মু’জামুল কাবির, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ১২, পৃ. ৭৮।
  13. তাবরানি, আল-মু’জামুল কাবির, ১৪০৪ হি., খণ্ড ২২, পৃ. ১৩৫।
  14. মিলানি, তাশঈদুল মুরাজাআত, ১৪২৭ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৬৪।
  15. রাহিমি, ইস্ফাহানি, বেলাদাত ওয়া রাহবারি, ১৩৭৪ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ১১৯-১২১।
  16. ইজি, আল-মাওয়াকিফ, আলামুল কুতুব, খণ্ড ১, পৃ. ৪০৫।
  17. মুসলিম, সহীহ মুসলিম, কিতাবুল জিহাদ: খণ্ড ৩, পৃ. ১৩৭৮, হা.১৭৫৭; বালাযুরি, আনসাবুল আশরাফ, ১৯৫৯ খ্রি., খণ্ড ১, পৃ. ৫৯০; তাবারি, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ২১১; ইবনে কাসির, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ২৪৮।
  18. বালাযুরি, আনসাবুল আশরাফ, ১৯৫৯ খ্রি., খণ্ড ১০, পৃ. ৩৬৩; তাবারি, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৬৫, ২১৪; ইবনে কাসির, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৭৯।
  19. ইবনে শাইবাহ, আল-মুসান্নাফ, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ৫৭৪; ইবনে তাইমিয়্যাহ, মিনহাজুস সুন্নাহ, ১৪০৬ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৪৬১।
  20. মাসউদি, মুরুজুয যাহাব, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১২২।
  21. ইবনে সা’দ, আত তাবাকাতুল কুবরা, ১৪১০ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ২৪৫।
  22. বাগদাদি, খাযানাতুল আদাব, ১৯৯৮ খ্রি., খণ্ড ৬, পৃ. ৬৯; ইবনে হাজার, আল-ইসাবাহ, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪৬৮।
  23. হিন্দি, কানযুল উম্মাল, ১৪১৯ হি., খণ্ড ১১, পৃ. ২৭৯, হা. ৩২৯৪১।
  24. হাকিম নিশাপুরি, আল-মুস্তাদরাক, খণ্ড ৩, পৃ. ১৩৪।
  25. আল-মুস্তাদরাক বি তা’লিকি যাহাবি, কিতাবু মা’রিফাতিস সাহাবা কিসমু যিকরি ইসলাম আমিরুল মু’মিনীন আলী, খণ্ড ৩, পৃ. ১৪৩, হা.৪৬৫২; আলবানী, আস সিলসিলাতুস সাহীহাহ, খণ্ড ৫, পৃ. ২৬৩।
  26. ইবনে হাম্বাল, মুসনাদ, মুআসসিসাতুল কার্তাবা, খণ্ড ৪, পৃ. ৪৩৭।
  27. সুয়ূতি, জামেউল আহাদিস, খণ্ড ১৬, পৃ. ২৫৬, হা.৭৮৬৬ ও খণ্ড ২৭, পৃ. ৭২।
  28. হিন্দি, কানযুল উম্মাল, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১৩, পৃ. ১৪২।
  29. তায়ালিসি, মুসনাদে আবি দাউদ, দারুল মা’রিফাহ, পৃ. ৩৬০।
  30. ইবনে হাম্বাল, ফাদ্বায়েলুস সাহাবা, ১৪০৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬০৫, ৬২০, ৬৪৯।
  31. আবু বকর শাইবানি, আল-আহাদ ওয়াল মাসানি, ১৪১১ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ২৭৯, হা.২২৯৮।
  32. নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা, ১৪১১ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১৩২।
  33. আবু ইয়া’লা মাওসিলি, মুসনাদে আবি ইয়া’লা, ১৪০৪ হি., পৃ. ২৯৩।
  34. ইবনে হাব্বান, সাহীহ ইবনে হাব্বান, ১৪১৪ হি., খণ্ড ১৫, পৃ. ৩৭৩।
  35. তাবরানি, আল-মু’জামুল কাবির, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ১২, পৃ. ৭৮।
  36. ইবনে আসাকির, তারিখু মাদিনাতি দিমাশক, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৪২, পৃ. ১০০।
  37. ইবনে কাসির, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৩৪৫।
  38. ইবনে হাজার, আল-ইসাবাহ, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ৪৮৮।
  39. তালমাসানি, আল-জাওহারাহ, আনসারিয়ান, খণ্ড ১, পৃ. ৬৫।
  40. বাগদাদি, খাযানাতুল আদাব, ১৯৯৮ খ্রি., খণ্ড ৬, পৃ. ৬৮।
  41. আমিনী, আল-গাদীর, ১৩৯৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫১।
  42. ইবনে আব্দুল বার, আল-ইস্তিআব, ১৪১২ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১০৯১।
  43. ইরবিলি, কাশফুল গুম্মাহ, ১৪০৫ হি., পৃ. ১৭৭।
  44. মুবারাকফুরি, তোহফাতুল আহওয়াযি, ১৪১০ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ১৪৬-১৪৭।
  45. ইবনে হাম্বাল, মুসনাদ, মুআসসিসাতুল কার্তাবা, খণ্ড ১, পৃ. ৩৩০, খণ্ড ৪, পৃ. ৪৩৭।
  46. ইবনে হাম্বাল, ফাদ্বায়েলুস সাহাবা, ১৪০৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৮৪, হা.১১৬৮।
  47. মুবারাকফুরি, তোহফাতুল আহওয়াযি, ১৪১০ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ১৪৬-১৪৭।
  48. আলবানী, আস সিলসিলাতুস সাহীহাহ, খণ্ড ৫, পৃ. ২৬২।
  49. আলবানী, আস সিলসিলাতুস সাহীহাহ, খণ্ড ৫, পৃ. ২৬৩।
  50. মিলানি, তাশঈদুল মুরাজাআত, ১৪২৭ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ২৩৮।
  51. متن حدیث ولایت و تصحیح اسناد آن, সাইয়্যেদ আলী মিলানি সাইট।
  52. متن حدیث ولایت و تصحیح اسناد آن, সাইয়্যেদ আলী মিলানি সাইট।
  53. সিয়ারু আ’লামিন নুবালা, ১৪১৩ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ২০০; দ্র: নিশাপুরী, সহীহ মুসলিম, দারুল ফিকর, খণ্ড ১, পৃ. ৭৭, ৮৩, ১৫৩।
  54. যাহাবি, তারিখুলি ইসলাম, ১৪১৩ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৬৩১।
  55. সিয়ারু আ’লামিন নুবালা, ১৪১৩ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ১৯৮।
  56. আলবানী, আস সিলসিলাতুস সাহীহাহ, খণ্ড ৫, পৃ. ২৬৩।
  57. মানাভি, ফাইযুল কাদীর, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪৭১।
  58. আলবানী, আস সিলসিলাতুস সাহীহাহ, খণ্ড ৫, পৃ. ২৬৩।
  59. মুবারাকফুরি, তোহফাতুল আহওয়াযি, ১৪১০ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ১৪৭।
  60. আলবানী, আস সিলসিলাতুস সাহীহাহ, খণ্ড ৫, পৃ. ২৬৩।

গ্রন্থপঞ্জি

  • ইবনে সা’দ, মুহাম্মাদ, আত তাবাকাতুল কুবরা, তাহকিক: মুহাম্মাদ আব্দুল কাদীর আতা, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১৪১০ হি./১৯৯০ খ্রি.।
  • ইবনে আবি আছিম শাইবানি, উমর ইবনে আবি আছিম, আস সুন্নাহ, তাহকিক: মুহাম্মাদ নাসির উদ্দীন আলবানী, বৈরুত, আল-মাক্তাবুল ইসলামি, ১৪১৩ হি./১৯৯৩খ্রি.।
  • ইবনে জাওযি, আব্দুর রাহমান ইবনে আলী, আল-মুন্তাযামু ফি তারিখিল মুলুক ওয়াল উমাম, তাহকিক: মুহাম্মাদ আব্দুল কাদীর আতা ওয়া মুস্তাফা আব্দুল কাদির আতা, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১৪১২ হি./১৯৯২ খ্রি.।
  • ইবনে হাব্বান, মুহাম্মাদ ইবনে হাব্বান, সাহীহ ইবনে হাব্বান বে তারতিব ইবনে বালবান, তাহকিক: শুয়াইব আরনাউত, বৈরুত, মুআসসিসাতুর রিসালাহ, ১৪১৪ হি./১৯৯৩ খ্রি.।
  • ইবনে হাজার আসকালানি, আহমাদ ইবনে আলী, আল-ইসাবাতু ফি তাময়ীযিস সাহাবাহ, তাহকিক: আদিল আহমাদ আব্দুল মাওজুদ ওয়া আলী মুহাম্মাদ মুআওয়েয, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১৪১৫ হি./১৯৯৫ খ্রি.।
  • ইবনে হাম্বাল, আহমাদ, ফাদ্বায়েলুস সাহাবাহ, তাহকিক: ওয়াছি উল্লাহ মুহাম্মাদ আব্বাস, বৈরুত, মুআসসিসাতুর রিসালাহ, ১৪০৩ হি./১৯৮৩ খ্রি.।
  • ইবনে হাম্বাল, আহমাদ, মুসনাদ, মিসর, মুআসসিসাতু কুর্তাবা, তারিখ অজ্ঞাত।
  • ইবনে শাইবা কুফি, আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ, আল-মুসান্নাফ ফি আহাদিস ওয়াল আসার, তাহকিক: সাঈদুল লাহাম, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪০৯ হি./১৯৮৯ খ্রি.।
  • ইবনে আব্দুল বার, ইউসুফ ইবনে আব্দুল বার, আল-ইস্তিআব ফি মা’রিফাতিল আসহাব, তাহকিক: আলী মুহাম্মাদ বাজাভি, বৈরুত, দারুল জাইল, ১৪১২ হি./১৯৯২খ্রি.।
  • ইবনে আসাকির, আলী ইবনে হাসান, তারিখু মাদিনাতি দিমাশক, তাহকিক: মুহিবুদ্দীন আবি সাঈদ উমর ইবনে গারামাহ উমরি, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৯৯৫ খ্রি./১৪১৫ হি.।
  • আবু ইয়া’লা মাওসিলি, আহমাদ ইবনে আলী, মুসনাদে আবি ইয়া’লা, তাহকিক: হাসান সুলাইম আসাদ, দারুল মা’মুন লিল তুরাস।
  • ইরবিলি, আলী ইবনে আবিল ফাতহ, কাশফুল গুম্মাহ ফি মা’রিফাতিল আইম্মা, বৈরুত, দারুল আদ্বওয়া, ১৪০৫ হি./১৯৮৫ খ্রি.।
  • البانی، محمدناصرالدین، السلسلة الصحیحة.
  • ইজি, আব্দুর রাহমান, আল-মাওয়াকিফ ফি ইলমিল কালাম, বৈরুত, আলামুল কুতুব, তারিখ অজ্ঞাত।
  • হাকিম নিশাপুরী, মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ, আল-মুস্তাদরাক আলাস সাহীহাঈন, তাহকিক: তাহতে আশরাফ আব্দুর রাহমান মারআশি, স্থান অজ্ঞাত, প্রকাশনা আজ্ঞাত, তারিখ অজ্ঞাত।
  • আমিনী, আব্দুল হুসাইন, আল-গাদীর, দারুল কিতাবিল আরাবি, বৈরুত, ১৩৯৭ হি./১৯৭৭ খ্রি.।
  • তালমাসানি, মুহাম্মাদ ইবনে আবি বকর, আল-জাওহারাতু ফি নাসাবিল ইমাম আলীয়্যি ওয়া আলিহি, কোম, আনসারিয়ান, তারিখ অজ্ঞাত।
  • বাগদাদি, আব্দুল কাদির, খাজানাতুল আদাব ওয়া লুব লুবাব লিসানুল আরাব, তাহকিক: মুহাম্মাদ নাবিল তারিকি ওযা আমিল বাদি ইয়াকুব, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১৯৯৮ খ্রি.।
  • বালাযুরি, আহমাদ ইবনে ইয়াহইয়া, আনসাবুল আশরাখ (খণ্ড ১), তাহকিক: মুহাম্মাদ হামিদুল্লাহ, মিসর, দারুল মাআরেফ, ১৯৫৯ খ্রি.।
  • বালাযুরি, আহমাদ ইবনে ইয়াহইয়া, জুমাল মিন আনসাবিল আশরাফ, তাহকিক: সুহাইল যাক্কার ও রিয়ায যিরিকলি, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪১৭ হি./১৯৯৬ খ্রি.।
  • মিলানি, সাইয়্যেদ আলী, তাশঈদুল মুরাজাআত ওয়া তাফনিদুল মুকাবারাত, কোম, মারকাযুল হাকায়েকিল ইসলামিয়্যাহ, ১৪২৭ হি./১৩৮৫ ফার্সি সন।
  • খাতিব বাগদাদি, আহমাদ ইবনে আলী, তারিখে বাগদাদ, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, তারিখ অজ্ঞাত।
  • যাহাবি, মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ, তারিখুল ইসলাম ওয়া ওয়াফায়াতুল মাশাহির ওয়াল আ’লাম, তাহকিক: উমর আব্দুস সালাম তাদমুরি, বৈরুত, দারুল কুতুবিল আরাবি, ১৪১৩ হি./১৯৯৩ খ্রি.।
  • যাহাবি, মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ, সিয়ারু আ’লামিন নুবালা, তাহকিক:শুয়াইব আরনাঊত ও মুহাম্মাদ নাঈম আরকাসুসি, বৈরুত, মুআসসিসাতুর রিসালাহ, ১৪১৩ হি./১৯৯৩ খ্রি.।
  • রাহিমি ইস্ফাহানি, গোলাম হুসাইন, বেলায়াত ওয়া রাহবারি, ইন্তেশারাতে আসকারিয়া, ১৩৭৪ ফার্সি সন।
  • তাবরানি, সুলাইমান ইবনে আহমাদ, আল-মু’জামুল কাবির (১২ খণ্ডের), তাহকিক: হামদি আব্দুল মাজিদ সালাফি, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি।
  • তাবারি, মুহাম্মাদ ইবনে জারির, তারিখুল উমাম ওয়া মুলুক, তাহকিক: মুহাম্মাদ আবুল ফাযল ইব্রাহিম, বৈরুত, দারুত তুরাস, ১৯৬৭ খ্রি./ ১৩৮৭ হি.।
  • তায়ালিসি, সুলাইমান ইবনে দাউদ, মুসনাদে আবি দাউদ আল-তায়ালিসি, বৈরুত, দারুল মা’রিফাহ, তারিখ অজ্ঞাত।
  • মুবারাকফুরি, মুহাম্মাদ আব্দুর রাহমান, তোহফাতুল আহওয়াযি বি শারহি জামেয়ি’ত তারমুযি, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১৪১০ হি./১৯৯০ খ্রি.।
  • মাসউদি, আলী ইবনে হুসাইন, মুরুজুয যাহাব ওয়া মাআদিনুল জাওহার, তাহকিক: আসআদ দাগের, কোম, দারুল হিজরা, ১৪০৯ হি.।
  • মাকদেসি, মুতাহ্হার ইবনে তাহের, আল-বাদ-ই ওয়াত তারিখ, বুরসাঈদ, মাক্তাবাতুস সাকাফিয়াতুদ দীনিয়্যাহ, তারিখ অজ্ঞাত।
  • নাসাঈ, আহমাদ ইবনে শুয়াইব, আস সুনানুল কুবরা, তাহকিক: আব্দুল গাফ্ফার সুলাইমান বান্দারি ওয়া সাইয়্যেদ হাসান কাসরাভি, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১৪১১ হি./১৯৯১ খ্রি.।
  • নাসাঈ, আহমাদ ইবনে শুয়াইব, খাসায়েসু আমিরুল মু’মিনীন (আ.), কোম, বুস্তানে কিতাব, ১৩৮৩ ফার্সি সন।
  • নিশাপুরী, মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ, সহীহ মুসলিম, বৈরুত, দারুল ফিকর, তারিখ অজ্ঞাত।
  • হিন্দি, মুত্তাকি, কানযুল আমাল, তাহকিক: শেইখ বুকরা হাইয়ানি, তাসহিহ: শেইখ সাফওয়া সাকা, বৈরুত, মুআসসিসাতুর রিসালাহ, ১৪০৯ হি./১৯৮৯ খ্রি.।
  • সাইয়্যেদ আলী মিলানি সাইট, মাতনে হাদিস বেলায়াত ওয়া তাসহিহ আসনাদে অন, দেখার তারিখ: ২০ খোরদাদ ১৩৯৫ ফার্সি

সন।